প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
সপ্তাহের সবচেয়ে ব্যস্ত দিন বৃহস্পতিবার। এর সঙ্গে রাজধানীতে যোগ হয়েছে সাতটি রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভ-সমাবেশ ও আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার চাপ। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি চলায় আজ ঢাকায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচি
জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক), খেলাফত মজলিস (আহমদ আবদুল কাদের), নেজামে ইসলাম পার্টি ও জাগপা তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তাদের সমাবেশ ও মিছিল হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী:
-
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ: জোহরের নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সমাবেশ, সেখান থেকে প্রেস ক্লাব হয়ে পল্টন পর্যন্ত মিছিল।
-
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক): আসরের পর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সমাবেশ, মিছিল যাবে বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত।
-
খেলাফত আন্দোলন: বিকেল ৩টায় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ, পরে বায়তুল মোকাররম অভিমুখে মিছিল।
-
জাগপা: বিকেল সাড়ে ৪টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় সমাবেশ, মিছিল করে প্রেস ক্লাব হয়ে পুনরায় বিজয়নগরে ফেরা।
-
নেজামে ইসলাম পার্টি: বিকেল ৫টায় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ।
-
জামায়াতে ইসলামী: বিকেল সাড়ে ৪টায় বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সমাবেশ, পরে পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত মিছিল।
যানজটের শঙ্কা
রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক যেমন—গুলিস্তান, পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল, শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় কর্মসূচির কারণে আজ যানজট তীব্র হতে পারে। বিশেষ করে শাহবাগ বন্ধ হলে এর প্রভাব পড়বে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, বাংলামোটর ও কারওয়ান বাজার এলাকাতেও।
এতে অফিসফেরত কর্মী, গুলিস্তান হয়ে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে আগত যাত্রী এবং সচিবালয়, মতিঝিল ও শান্তিনগরের পথচারীরা দুর্ভোগে পড়তে পারেন। হাসপাতাল এলাকায় ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, বারডেম, ল্যাবএইড, পপুলার, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রোগী আনা-নেওয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,
“যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করি। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে ব্যাপক লোকসমাগম হলে স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত হয়। বিকল্প রাস্তাগুলোও চাপ সামলাতে পারে না, এতে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়।”
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এতে সময়, অর্থ, শ্রমের ক্ষতি হয় এবং জরুরি রোগীকেও হাসপাতালে নিতে দেরি হয়ে যায়। এজন্য বড় দলগুলোর কর্মসূচি ঘোষণার ক্ষেত্রে নাগরিক ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
👉 যানজট পরিস্থিতি ও কর্মসূচি ঘিরে সর্বশেষ খবর জানতে সাথে থাকুন।