প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশব্যাপী তীব্র বিক্ষোভ ও সহিংসতার মুখে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। মঙ্গলবার সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেলের সঙ্গে বৈঠকের পরই তিনি ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও তাকে পদত্যাগের অনুরোধ করা হয়েছিল বলে সূত্র জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল ওলির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
পদত্যাগপত্রে ওলির বক্তব্য
রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে লেখা পদত্যাগপত্রে ওলি বলেন,
“নেপালের সংবিধান অনুযায়ী আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের পথ খুঁজতেই আমি পদত্যাগ করছি।”
বিক্ষোভ ও সহিংসতা
-
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই বিক্ষোভের সূত্রপাত।
-
সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-যুবকদের ব্যাপক আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ।
-
পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ২৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
-
ক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনেও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে।
-
সুপ্রিম কোর্ট ও সংসদ ভবনেও ভাঙচুর চালানো হয়।
সেনা ও সরকারের পদক্ষেপ
-
রাতেই নেপাল সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
-
মঙ্গলবার সকাল থেকে আরও বড় আকারে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
-
সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ওলি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চান।
-
কাতর অবস্থায় দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে। তার সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।
বিমানবন্দর ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
-
ওলি ও তার মন্ত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে সেনাবাহিনীর কয়েকটি হেলিকপ্টার মোতায়েন রাখা হয়েছে।
-
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩০০-র বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং সব উড়ান বাতিল করা হয়েছে।
ভারতের সতর্কবার্তা
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেপালের পরিস্থিতির ওপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে বলে জানিয়েছে। নেপালে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের সাবধান থাকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।