বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে আগামী বছর ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সরকার ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলন বিনিয়োগকারীদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সামিটে বৈদেশিক বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, উৎপাদন ও রপ্তানি খাতের প্রসারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের একত্রিত করে বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা ও সম্ভাব্য প্রকল্পগুলোর বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
অংশগ্রহণ করবেন বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী, বহুজাতিক কোম্পানির প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষক, নীতিনির্ধারক এবং উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এবার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা, ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রতিযোগিতামূলক শ্রমশক্তি তুলে ধরতে এই সামিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সামিট থেকে দেশের শিল্প খাতে নতুন বিনিয়োগ, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের প্রসার এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সামিটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে নীতি সংস্কার এবং বিভিন্ন প্রণোদনার বিষয়েও আলোচনা হবে।
এই সামিট দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, তা নির্ভর করবে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর। তবে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনাও জোরদার করা হচ্ছে।