প্রকাশের তারিখ: ৮ আগস্ট ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি ও লেবার পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তারেক রহমানের বক্তব্যের মূল পয়েন্টসমূহ:
-
ঐক্যের মাধ্যমে দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের পথ পেরিয়ে জুলাই মাসের ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে।
-
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
-
রমজান শুরুর আগে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
অংশগ্রহণকারী জোট ও নেতৃবৃন্দ:
-
১২ দলীয় জোট: সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির একাংশ, বাংলাদেশ জাতীয় দল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, জাগপা (একাংশ), লেবার পার্টি (একাংশ), কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক পার্টি, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টি, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল প্রমুখ।
-
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট: সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), জাগপা (একাংশ), ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ ন্যাপ, বিকল্প ধারা, সাম্যবাদী দল, গণদল, ন্যাপ-ভাসানী, ইসলামী ঐক্যজোট, পিপলস লীগ ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টি।
সভায় এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন এই যুগপৎ উদ্যোগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে সুসংহত ও ঐক্যবদ্ধ রাখার কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।