প্রকাশের তারিখ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এগুলো হলো—
-
৭ অক্টোবর: আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী
-
২৫ ফেব্রুয়ারি: বিডিআর ট্র্যাজেডি (বিডিআর ম্যাসাকার দিবস)
প্রতি বছর এই দুটি দিন বিশেষভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
🔹 সরকারি ঘোষণা
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সরকারি পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ওই পোস্টে বলা হয়, শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকাসহ দেশের সব শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শিত হবে প্রামাণ্যচিত্র “You Failed to Kill Abrar Fahad”।
ঢাকার প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ।
🔹 সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডারে যুক্ত হচ্ছে দুটি দিবস
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি জাতীয় সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডার তৈরির কাজ চলছে। এতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, ঐতিহাসিক ঘটনা ও রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ দিনসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী (৭ অক্টোবর) ও বিডিআর ট্র্যাজেডি দিবস (২৫ ফেব্রুয়ারি) ক্যালেন্ডারে স্থান পেয়েছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,
“দুটি দিনকেই জাতীয়ভাবে স্মরণ করা হবে। শিল্পকলা একাডেমি ও জেলা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে এই দিবসগুলোকে ঘিরে বিশেষ আলোচনা, প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।”
🔹 পটভূমি
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলে নিহত হন। তাঁর মৃত্যু দেশের তরুণসমাজ ও নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
অন্যদিকে, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর হত্যাযজ্ঞে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও অনেকে প্রাণ হারান—যা বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম মর্মান্তিক ঘটনা।
🔹 প্রতিক্রিয়া
রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মহলে এই সিদ্ধান্তকে “গণসচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় স্মৃতির বিকাশে ইতিবাচক পদক্ষেপ” হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুই দিবস জাতীয় ক্যালেন্ডারে যুক্ত হওয়ায় দেশের ইতিহাসে নাগরিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের বার্তা আরও সুদৃঢ় হবে।
সূত্র: প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ৬ অক্টোবর ২০২৫

