প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন, ইসি চালু করল পোস্টাল ব্যালট নিবন্ধন

প্রকাশের তারিখ: ২০ নভেম্বর ২০২৫

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী এবারই প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এ জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করবে।

প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। সেই প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের জন্য ইসি ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ (Postal Vote BD) নামের একটি অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অ্যাপটির উদ্বোধন করেন।

নিবন্ধনের জন্য প্রবাসীরা গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে সাতটি ধাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। আজ (বুধবার) থেকে বিশ্বব্যাপী নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রবাসীরা নিবন্ধন করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়া ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এরপর দেশের ভেতরে বিশেষ তিন ধরনের নাগরিক এবং বাদ পড়া প্রবাসীদের জন্য ১৯ থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে।

নিবন্ধন প্রক্রিয়া:
‘ওসিভি–এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালীম আহমাদ খান জানিয়েছেন, প্রবাসীরা যে দেশে অবস্থান করছেন, সেই দেশের ঠিকানাই নিবন্ধনের জন্য ব্যবহার করতে হবে। প্রবাসে ব্যবহৃত ফোন নম্বরই হবে ‘ইউজার নেম’। অন্য দেশের নামে বা দেশে বসে নিবন্ধনের সুযোগ নেই।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে নির্দেশনা, ভিডিও টিউটোরিয়াল ও হেল্পলাইন থাকবে। নিবন্ধন সম্পন্ন করতে ৫–১০ মিনিট সময় লাগবে। নিবন্ধিত প্রবাসীদের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হবে। তবে প্রবাসে নিবন্ধন করে দেশে এসে ভোট দেওয়া যাবে না।

নিবন্ধনের সময়সূচি:

• মধ্য এশিয়া, লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকা: ১৯–২৩ নভেম্বর

• উত্তর আমেরিকা ও ওশেনিয়া: ২৪–২৮ নভেম্বর

• ইউরোপ: ২৯ নভেম্বর–৩ ডিসেম্বর

• সৌদি আরব: ৪–৮ ডিসেম্বর

• দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া: ৯–১৩ ডিসেম্বর

• সৌদি ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ: ১৪–১৮ ডিসেম্বর

• তালিকায় নেই এমন দেশ বা সময়মতো নিবন্ধন করতে না পারা প্রবাসীরা: ১৯–২৩ ডিসেম্বর

নিবন্ধন প্রতিটি অঞ্চলে বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী রাত ১২:০১ মিনিটে শুরু হয়ে পঞ্চম দিনের রাত ১১:৫৯ মিনিটে শেষ হবে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো নিজ নিজ দেশের অবস্থান থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন, যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করবে।