প্রকাশিত: স্টাফ রিপোর্টার | ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চেক জালিয়াতির মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) শামসুদ্দোহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নবাবগঞ্জে নিজস্ব রিসোর্ট থেকে তাকে আটক করা হয়।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারের পর শামসুদ্দোহাকে আদালতে তোলা হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন আলোচিত
পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় শামসুদ্দোহা দুর্নীতির ‘বরপুত্র’ হিসেবে কুখ্যাতি পান। বিশেষ করে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান থাকাকালে টেন্ডার প্রক্রিয়া ও নদী দখল ইস্যুতে শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই অবৈধ আয় দিয়ে তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জে শত বিঘা জমির ওপর বিলাসবহুল রিসোর্ট ও খামারবাড়ি গড়ে তোলেন।
দুদকের মামলা ও অভিযোগপত্র
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যেই শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
-
অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অবৈধ সম্পদ: ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ টাকা।
-
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান থাকাকালে অসাধু উপায়ে আয় করা অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে জমা রাখা হয়।
-
এর মধ্যে ২১ কোটি টাকার উৎস ও মালিকানা গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
-
সম্পদ বিবরণীতে ৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ গোপন এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন তিনি।
-
অতিরিক্তভাবে দুদকের অনুসন্ধানে আরও ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে।
স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ
দুদকের তদন্তে তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
-
২৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার সম্পদ গোপন।
-
২৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার অজ্ঞাতআয়ের সম্পদ অর্জনের প্রমাণ।
সারসংক্ষেপ
চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার শামসুদ্দোহা দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায় ছিলেন। দুদকের দাখিল করা মামলাগুলো এখন বিচারাধীন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, চলমান তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় নতুন তথ্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।