প্রকাশিত: শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ | খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
আট দিন পর খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত নয়টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সরকারি ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এরপর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। তিনি বলেন,
“বর্তমানে জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরামর্শে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারায় এ আদেশ কার্যকর হবে।”
ঘটনার পটভূমি
গত ২৭ সেপ্টেম্বর জনসাধারণের জান-মালের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় খাগড়াছড়ি সদর ও পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিলেন জেলা প্রশাসক। এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে পাহাড়ি এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, যা পার্বত্য জেলায় ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র–জনতা সংগঠনটি ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে অবরোধ ডাকে এবং পরদিন থেকে তিন পার্বত্য জেলায় সেই কর্মসূচি সম্প্রসারিত হয়।
অবরোধ চলাকালীন ২৮ সেপ্টেম্বর গুইমারার রামেসু বাজারে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে গুলিতে তিনজন নিহত হন।
অবরোধ প্রত্যাহার ও নতুন ঘোষণা
শনিবার সকালে জুম্ম ছাত্র–জনতা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। সংগঠনটি এ সময় আট দফা দাবি তুলে ধরে এবং জানায়, এসব দাবি পূরণ না হলে তারা ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবে।
জুম্ম ছাত্র–জনতার সদস্য কৃপায়ন ত্রিপুরা বলেন,
“আমরা আপাতত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন স্থগিত রাখছি, কিন্তু আট দফা দাবি না মানা হলে আবারও আন্দোলনে নামব।”
সমাপনী মন্তব্য
দীর্ঘ আট দিনের উত্তেজনা ও সহিংসতার পর ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ঘোষণায় স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তির বাতাস বইছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জনগণের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

