মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই আলোচনায় প্রধানত ইউক্রেন সংকট, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, এবং জ্বালানি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় স্থান পেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও শান্তি আলোচনা
ফোনালাপের প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও সম্ভাব্য শান্তি আলোচনা। ট্রাম্প ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন এবং উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেন। পুতিনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, রাশিয়া কেবল তখনই আলোচনায় আগ্রহী হবে, যদি তাদের নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সামরিক উত্তেজনা
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতেও দুই নেতা আলোচনা করেছেন। সামরিক উত্তেজনা হ্রাস এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ নিয়ে ট্রাম্প এবং পুতিন উভয়েই মত প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে, নতুন স্ট্র্যাটেজিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি (START) পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংলাপ চালানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়।
জ্বালানি সংকট ও বাজার স্থিতিশীলতা
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে তেল ও গ্যাসের সরবরাহ এবং বাজার স্থিতিশীলতা নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প রাশিয়াকে তেলের উৎপাদন কমানোর আহ্বান জানান, যাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম স্বাভাবিক রাখা যায়। তবে, পুতিন জ্বালানি নীতির বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন যে, এটি রাশিয়ার নিজস্ব অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের ভবিষ্যৎ
ফোনালাপে দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও মতবিনিময় করেন। তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এই ফোনালাপের মাধ্যমে যদিও তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান আসেনি, তবে এটি ভবিষ্যতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।