✍️ প্রবাস বুলেটিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির পক্ষ থেকে এই প্রথমবারের মতো একটি নিশ্চিত প্রত্যাবর্তনের তালিকা দেওয়া হলো, যা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিমসটেক সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
আজ ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেকের ষষ্ঠ সম্মেলনের ফাঁকে, মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান শিউ এই তথ্য জানান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান-কে।
মিয়ানমার আরও জানায়, তালিকাভুক্ত বাকি ৫ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গার যাচাই দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে। পাশাপাশি, আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে চূড়ান্ত যাচাইয়ের জন্য ছবি ও নাম মিলিয়ে পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া চলছে।
তালিকা হস্তান্তর প্রক্রিয়া
২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ছয়টি ধাপে রোহিঙ্গাদের তালিকা মিয়ানমার সরকারের কাছে হস্তান্তর করে। এতদিন সেই তালিকা যাচাই-বাছাই ও যাচাইয়ের অগ্রগতি অনিশ্চিত থাকলেও এবার মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি ফেরত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেল।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবিক বার্তা
বৈঠকে ড. খলিলুর রহমান মিয়ানমারে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় সমবেদনা জানান এবং বলেন,
“দুর্যোগকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত।”
এক নজরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অগ্রগতি:
-
✅ প্রথম ধাপে চিহ্নিত: ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা
-
🔍 যাচাইাধীন: ৭০ হাজার
-
🗂️ মূল তালিকায় মোট: ৮ লাখ
-
⏳ বাকি যাচাইয়ের প্রতিশ্রুতি: ৫ লাখ ৫০ হাজার
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘোষণা বাস্তবায়ন হলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক রচিত হবে। তবে নির্ভর করছে—মাঠপর্যায়ে এই প্রত্যাবাসন কতটা বাস্তবসম্মতভাবে কার্যকর হয়, তার উপর।