মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিনেত্রী মালাইকা আরোরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ২০১২ সালের একটি মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছেন, ফলে আদালত জামিনযোগ্য ধারায় এই পরোয়ানা জারি করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। মুম্বাইয়ের কোলাবা এলাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে NRI শিল্পপতি ইকবাল শর্মার উপর হামলার অভিযোগ ওঠে অভিনেতা সইফ আলি খান, শিল্পপতি বিলাল আমরোহি এবং মালাইকার ভগ্নীপতি শাহিল লাদাখের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সইফ আলি খান ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে চিৎকার, অশোভনীয় আচরণ ও মারধরের অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগ ওঠে, সইফ আলি খান শিল্পপতি ইকবাল শর্মাকে ঘুষি মেরে তাঁর নাক ভেঙে দেন। ঘটনার সময়ে মালাইকা আরোরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাঁকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়।
২০১৪ সালে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সইফ আলি খান, শাকিল লাদাখ ও বিলাল আমরোহির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়। ২০১৭ সালে সইফ আলি খানের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত আঘাত করার অভিযোগে মামলা হয়। তবে ২০১৯ সালে সইফ আলি খানের মামলাটি খারিজ হয়ে যায় এবং ২০২৩ সালে তাঁকে বেকসুর খালাস করে আদালত।
অতীতে, ২৯ মার্চ তারিখে মালাইকার বোন অমৃতা আরোরা লাদাখ তৃতীয় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। তিনি আদালতে জানান, সইফ আলি খানই NRI শিল্পপতিকে মারধর করেছেন। এখন, মালাইকা আরোরা আদালতে কী জানান, তা খতিয়ে দেখার বিষয় হবে।