রিপোর্ট: তুষার, প্রবাস বুলেটিন
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের আশার কথা শুনিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি জানিয়েছেন, এ অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি আজ সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে প্রথম বৈঠকে বসছে।
সচিবালয়ে জাতিসংঘের বলপ্রয়োগে বা অনিচ্ছাকৃত গুম সম্পর্কিত কার্যনির্বাহী দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
🏛️ আন্দোলনের পটভূমি
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে সরকারি চাকরি সংশোধন আইন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নিম্ন ও মধ্যপদস্থ কর্মচারীরা। সোমবারও দিনভর সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। তাদের অভিযোগ, সংশোধিত আইনটি নিয়ন্ত্রণমূলক ও মৌলিক অধিকারবিরোধী।
সরকার এরই মধ্যে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে, যা অধ্যাদেশ পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রদান করবে।
📣 উপদেষ্টার বক্তব্য
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন,
“সরকারি চাকরি সংশোধন আইনটি আমি বিদেশে থাকার কারণে প্রণয়নের সময় সরাসরি যুক্ত ছিলাম না। পরবর্তীতে যখন আইনটি দেখি, তখন আমার কাছেও মনে হয়েছে—এখানে কিছু বিষয় পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
“সরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে আইনটি প্রণয়ন করেনি। তবু কোনো কোনো বিধান এমন হতে পারে, যা বাস্তব প্রয়োগে হয়রানি বা বিভ্রান্তির জন্ম দিতে পারে। সেই দিক বিবেচনা করেই আমরা আজ (সোমবার) বিকেল ৪টায় বৈঠকে বসছি। কর্মচারীদের দাবিসংবলিত কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতেই আলোচনার ভিত্তি গড়ে তোলা হবে।”
তিনি বলেন, কমিটির দায়িত্ব হলো প্রস্তাবনা তৈরি করে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তা উপস্থাপন করা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
✋ আন্দোলন স্থগিতের আহ্বান
আসিফ নজরুল সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন,
“আমি অনুরোধ করব, আপনারা আন্দোলন থেকে বিরত থাকুন যতক্ষণ না কমিটি রিপোর্ট দিচ্ছে। আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি। অতএব আন্দোলন আপাতত স্থগিত রেখে আমাদের সুপারিশের জন্য অপেক্ষা করুন।”
🪧 কর্মচারীদের প্রতিক্রিয়া
এদিকে সোমবার সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীরা জানান, এই আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের দাবি, এটি একটি “নিবর্তনমূলক ও কালো আইন”। আন্দোলনকে মাঠ প্রশাসন পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা, তবে কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ।