সোমবার, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দ্রুত অনুমতি চায় সংস্থাটি, দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের আহ্বান
প্রকাশিত: শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির সুপারিশ করেছে। সংস্থাটি বলছে, দেশে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ১১০ টাকায় পৌঁছেছে, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত আমদানির অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন।

দাম বাড়ার কারণ বিশ্লেষণ

ট্যারিফ কমিশন গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যসচিব ও কৃষিসচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে জানায়, প্রতিবছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজের দাম বাড়ে, কারণ এই সময় বাজারে পুরোনো পেঁয়াজের সরবরাহ কমে আসে। কমিশনের সাম্প্রতিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিছু মধ্যস্বত্বভোগী বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে।

ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান বলেন,

“এই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকার মধ্যে থাকার কথা থাকলেও তা বেড়ে ১১৫ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশে পেঁয়াজের দাম মাত্র ৩০ টাকার মধ্যে। তাই বাজার স্থিতিশীল রাখতে সীমিত পরিমাণে আমদানির অনুমতি দ্রুত দেওয়া প্রয়োজন।”

বাজার পরিস্থিতি

গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা বাধ্য হচ্ছেন দাম বাড়াতে।

কমিশনের পর্যবেক্ষণ

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—

  • পেঁয়াজের উচ্চ দামের লাভ কৃষকের হাতে পৌঁছাচ্ছে না, বরং মধ্যস্বত্বভোগীরাই লাভবান হচ্ছেন।

  • আমদানির সুযোগ দিলে বাজারে সরবরাহ বাড়বে, মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমবে এবং ভোক্তারা যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন

উৎপাদন ও আমদানির পরিসংখ্যান

গত অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। তবে সংরক্ষণ সমস্যা ও পচনজনিত কারণে এর মধ্যে মাত্র ৩৩ লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে আসে
একই অর্থবছরে দেশ ৪ লাখ ৮৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে, যার মধ্যে ভারতের অংশ ৯৯ শতাংশ। এ ছাড়া তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন ও মিসর থেকেও সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়।

বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানির ওপর মোট ১০ শতাংশ শুল্ককর প্রযোজ্য রয়েছে।

দ্রুত সিদ্ধান্তের তাগিদ

কমিশন মনে করছে, দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনই সীমিত আমদানি অনুমোদন দেওয়া গেলে বাজার দ্রুত স্থিতিশীল হতে পারে। অন্যথায় নভেম্বরের মধ্যভাগে গিয়ে বাজার আরও অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


📌 উল্লেখ্য, ট্যারিফ কমিশনের এই সুপারিশের পর এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাইলে দ্রুত অনুমোদন দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে।

Leave A Reply

বৈদেশিক কর্মসংস্থান, অভিবাস ও প্রবাস জীবন সংক্রান্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল।

যোগাযোগ

সিটি হার্ট শপিং কমপ্লেক্স (১১তম ফ্লো), রুম ১২/৮, ৬৭, নয়াপল্টন, ভিআইপি রোড, ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০ ১৫৩৩-১৯০৩৭১, ইমেইল: info@probashbulletin.com

Exit mobile version