শনিবার, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে একটা মুখোমুখি অবস্থা তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচন কোনো মুখোমুখি ব্যাপার নয়। নির্বাচনের জন্য সংস্কার দরকার। আবার সংস্কার শেষ করার জন্য নির্বাচন দরকার। কাজেই সংস্কারের পক্ষ নিয়ে কেউ যদি নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কথা বলেন, সেটা মানুষ নেবে না। আবার নির্বাচনের কথা বলে সংস্কার যদি আড়াল হয়ে যায়, সেটাও মানুষ গ্রহণ করবে না।

আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি। ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নিয়ন্ত্রণহীন সিন্ডিকেট ও নতুন করে আরোপিত ভ্যাট–ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে’ এই সমাবেশের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি।

সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য না থাকলে অভ্যুত্থান বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। তাতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে; কিন্তু আমরা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি। যে ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমাদের ন্যূনতম জাতীয় ঐক্য রক্ষা করতে হবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ভুল হলে ভয়ংকর পরিণতি আসতে পারে। কাজেই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণের ঐক্যই জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানকে সফল করেছে। জনগণের ঐক্যই নতুন একটি গণতান্ত্রিক পথে নিয়ে যাবে।

ভারত শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে দুনিয়ার সামনে বাংলাদেশকে হেয় করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা যদি ঠিকঠাকমতো ব্যবস্থা নিতে পারি, ভারতের মিডিয়ার উল্লেখযোগ্য অংশ এবং তাদের শাসক দল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করলেও সেটা টিকবে না। বাংলাদেশের মানুষ সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এই দেশ সম্প্রীতি আর ঐক্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, অভ্যুত্থান রায় দিয়েছে, ভারত কেন দুনিয়ার কোনো দেশের সামনেই বাংলাদেশ আর মাথা নত করবে না। বাংলাদেশের জনগণ চায় মাথা উঁচু করে নিজের দেশের স্বার্থের ভিত্তিতে অন্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে। ভারতের কর্তাব্যক্তিদের এই বাস্তবতা মানতে হবে। তিনি বলেন, সীমান্তে এত দিন যেভাবে গুলি করে ফেলানীসহ দেশের নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে, ওই অবস্থা আর মেনে নেওয়া হবে না।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দিন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক রায়, তরিকুল সুজন প্রমুখ বক্তব্য দেন। গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ানের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা।

সমাবেশ শেষে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এই মিছিল প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবার একই জায়গায় ফিরে আসে।

Leave A Reply

বৈদেশিক কর্মসংস্থান, অভিবাস ও প্রবাস জীবন সংক্রান্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল।

যোগাযোগ

সিটি হার্ট শপিং কমপ্লেক্স (১১তম ফ্লো), রুম ১২/৮, ৬৭, নয়াপল্টন, ভিআইপি রোড, ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০ ১৫৩৩-১৯০৩৭১, ইমেইল: info@probashbulletin.com

Exit mobile version