ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে একদিকে মাঠের পারফরম্যান্সে ঝলক দেখাচ্ছে শীর্ষ দলগুলো, অন্যদিকে বিতর্কে জড়িয়েছে একটি ম্যাচ—যেখানে উঠে এসেছে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। এক নজরে বুধবারের ম্যাচ ও আলোচিত ঘটনা:
🔵 শীর্ষে অপ্রতিরোধ্য আবাহনী
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বড় জয়ে ঢাকা আবাহনী স্পোর্টিং ক্লাব টানা নবম জয় তুলে নিয়েছে।
ব্যাট হাতে পারভেজ হোসেন ইমন ৭৯ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৮ রান করেন। দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ২৯০। পরে হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক।
⚫ মোহামেডানের দারুণ ফর্ম
পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৭৪ রানে জিতে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে।
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৬৪ এবং মুশফিকুর রহিম ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে দলের স্কোর ২৮৭ পর্যন্ত নিয়ে যান। জবাবে অমিত হাসানের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও অগ্রণী ব্যাংক ২১৩ রানে অলআউট হয়।
🔴 গুলশান–শাইনপুকুর ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে ক্রিকেটারদের আচরণ ঘিরে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।
১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে জয়ের জন্য মাত্র ছয় রান দরকার থাকাকালে মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির যেভাবে আউট হন, তা দেখে ধারাভাষ্যকাররাও অবাক।
উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ব্যাট না নামিয়ে স্টাম্পিং হওয়াকে ‘অস্বাভাবিক’ বলছেন বিশ্লেষকরা। সেই ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
⚠️ একই ব্যক্তির দুটি ক্লাবে প্রভাব
গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কোচ ও সেক্রেটারি খালেদ মাহমুদ একইসঙ্গে শাইনপুকুর ক্লাবেরও জয়েন্ট সেক্রেটারি—এই দ্বৈত ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
গুলশানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তারা টাকার বিনিময়ে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে ম্যাচে খেলিয়েছেন বলেও দাবি উঠেছে।
❌ সংবাদিকদের বাধা ও দায় এড়ানো
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো দলের কেউ কথা বলেননি। এমনকি সাংবাদিকদের মাঠে প্রবেশও নিষিদ্ধ ছিল।
দায়িত্বপ্রাপ্ত আম্পায়াররা জানিয়েছেন, “এগুলো দেখা আমাদের দায়িত্ব নয়।” ম্যাচ রেফারিও অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।