বর্তমানে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) ছাড়া নাগরিকদের জন্য বহু সরকারি-বেসরকারি সেবা গ্রহণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, মোবাইল সিম নিবন্ধন, বিকাশ-নগদ-রকেট অ্যাকাউন্ট খোলা—সবখানেই জাতীয় পরিচয়পত্র অপরিহার্য। কিন্তু অনেকেই আবেদন করেও এখনো কার্ড হাতে পাননি।
এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উদ্যোগে জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনে ডাউনলোডের সুযোগ চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হচ্ছে। কয়েকটি সহজ ধাপে ঘরে বসেই এনআইডি ডাউনলোড করা যাচ্ছে মাত্র কয়েক মিনিটেই।
কীভাবে ডাউনলোড করবেন জাতীয় পরিচয়পত্র?
১. প্রথমে ভিজিট করুন: https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/
২. “রেজিস্টার” বাটনে ক্লিক করুন।
৩. এরপর ফরম নম্বর (যেখানে ছবি ও আঙুলের ছাপ দিয়েছেন) অথবা এসএমএসে প্রাপ্ত NID নম্বর দিন। ফরম নম্বর ব্যবহার করলে তার আগে লিখুন NIDFN।
৪. জন্ম তারিখ ও ভেরিফিকেশন ক্যাপচা পূরণ করে “সাবমিট” করুন।
এরপর আপনাকে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে। এরপর আসবে মোবাইল নম্বর যাচাইয়ের ধাপ। আবেদন করার সময় যেই নম্বরটি ব্যবহার করেছিলেন, তাতে পাঠানো ওটিপি (OTP) দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন। মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে চাইলে ‘মোবাইল পরিবর্তন’ অপশন ব্যবহার করতে পারবেন।
ফেস ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক
সব তথ্য ঠিক থাকলে এবার “ফেস ভেরিফিকেশন” করতে হবে। এ জন্য মোবাইলে NID Wallet App ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। অ্যাপের নির্দেশনা অনুযায়ী চেহারার মিল শনাক্ত হলে ভেরিফিকেশন সফল হবে।
ডাউনলোড অপশন খুলবে
ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনি ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করতে পারবেন। নিচের দিকে থাকা “ডাউনলোড” অপশন থেকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ডিজিটাল কপি (PDF) ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
বিশেষ দিকনির্দেশনা:
-
এনআইডির অনলাইন কপি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অফিসিয়াল কাজেই গ্রহণযোগ্য।
-
ফিজিক্যাল কপি সংগ্রহের জন্য স্থানীয় নির্বাচন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।
-
অ্যাকাউন্ট তৈরি বা ডাউনলোডে সমস্যা হলে নিকটস্থ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (UDC) অথবা উপজেলা নির্বাচন অফিসে সহায়তা চাইতে পারেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড প্রক্রিয়া অনলাইনে চালু হওয়ায় নাগরিক সেবা গ্রহণ এখন আরও সহজ, দ্রুত ও সময়সাশ্রয়ী। প্রযুক্তিনির্ভর এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।