সোমবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রবাস বুলেটিন
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এবং কুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মঙ্গলবার রাত ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ অনশন শুরু করেন সংগঠনের ১৫ জন সদস্য।

তাদের মধ্যে রয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব মহির আলম এবং সদস্য লিমন মাহমুদ, রেজওয়ান আহমেদ, সাকিব আহমেদ, সাব্বির উদ্দিন, আহনাফ রহমান, আনিকা তাহসিনা, সায়লা আক্তার প্রমুখ।

ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব সাকিব আহমেদ বলেন, “আমরা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেছি। কুয়েটের ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল থেকে প্রতীকী অনশন চলছিল। রাত ১০টার মধ্যে কুয়েট উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের জন্য আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় রাত ১০টা ৪০ মিনিটে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন, যা প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। এই সময় শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

কুয়েট ক্যাম্পাসে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে ১৮ ফেব্রুয়ারি, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর প্রেক্ষিতে প্রশাসন একাডেমিক ভবনে তালা লাগায় এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর ১৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন এবং ১৪ এপ্রিল রাতে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ১৫ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে উপাচার্যের পদত্যাগ চান এবং হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। ২১ এপ্রিল তাঁরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। আলটিমেটামের মেয়াদ শেষ হলে সোমবার বিকেল থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে এবং মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় শুরু হয় আমরণ অনশন।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “এটি শুধুই কুয়েটের সংকট নয়, দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার এক ভয়াবহ চিত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচার ও শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের অধিকার হরণ বন্ধে উপাচার্যের পদত্যাগ একান্ত প্রয়োজন।”

এদিকে আন্দোলনকারীদের মধ্যে কেউ কেউ জানিয়েছেন, কুয়েট প্রশাসন ও সরকারিভাবে এখনও কোনো পক্ষ যোগাযোগ করেনি। তবে তাঁদের অবস্থান অনড়— দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত থাকবে।

Leave A Reply

বৈদেশিক কর্মসংস্থান, অভিবাস ও প্রবাস জীবন সংক্রান্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল।

যোগাযোগ

সিটি হার্ট শপিং কমপ্লেক্স (১১তম ফ্লো), রুম ১২/৮, ৬৭, নয়াপল্টন, ভিআইপি রোড, ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০ ১৫৩৩-১৯০৩৭১, ইমেইল: info@probashbulletin.com

Exit mobile version