প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | ঢাকা:
চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৩ দিনেই ১২৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে দেশে আসছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৯২ কোটি টাকার রেমিট্যান্স।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
🔹 আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন,
“অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৭ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ কোটি ডলার বেশি।”
২০২৪ সালের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ চলতি বছর একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২৭ শতাংশেরও বেশি।
🔹 চলতি অর্থবছরে (২০২৫–২৬) মোট রেমিট্যান্স প্রবাহ
চলতি অর্থবছরের (জুলাই–১৩ অক্টোবর) মধ্যে দেশে মোট এসেছে ৮৮৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
অন্যদিকে, গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই–১৩ অক্টোবর ২০২৪) রেমিট্যান্স এসেছিল ৭৫৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
এ হিসাবে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
🔹 মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে মাসভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ নিম্নরূপ—
- 
জুলাই: ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার
 - 
আগস্ট: ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার
 - 
সেপ্টেম্বর: ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার
 
এতে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা অক্টোবরেও ইতিবাচক ধারা ধরে রেখেছে।
🔹 আগের অর্থবছরের রেকর্ড
২০২৪–২৫ অর্থবছরে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল মার্চ মাসে—৩২৯ কোটি ডলার, যা ছিল ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের (২০২৩–২৪) অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩–২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
🔹 সার্বিক বিশ্লেষণ
অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় সরকারের প্রণোদনা ও ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার প্রভাবও স্পষ্ট।
উপসংহার:
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়েই রেমিট্যান্সের প্রবাহে যে গতি দেখা যাচ্ছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে—চলতি মাসের শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা হবে চলতি অর্থবছরের আরেকটি শক্তিশালী সূচক।

