যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত “রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ” বা পাল্টা শুল্কের প্রভাব বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন ঘোষণায় বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর গড় শুল্কহার ১৫ শতাংশ হলেও নতুন হারে তা দাঁড়াতে পারে ৫২ শতাংশে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮২ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির প্রধান বাজার ইউরোপ হওয়ায় বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, “তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অধিকাংশ পণ্য ইউরোপে রপ্তানি হয়। তবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে ডেনিম রপ্তানি করে, তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজার ঐতিহাসিকভাবে নিম্নমুখী অবস্থানে আছে। ফলে বাজারে আতঙ্ক ছড়ালেও তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।”