📍 গাজা, ২৬ মে ২০২৫
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো অতর্কিত হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। গাজা সিটির ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গাজার চিকিৎসক ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার গাজা সিটিতে অবস্থিত ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুল লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ স্কুলটিতে গাজার উত্তরের বেইত লাহিয়া এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা শত শত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, “আমরা এখন পর্যন্ত স্কুল ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ২০টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। নিহতদের মধ্যে কয়েকটি শিশুর মরদেহ রয়েছে।”
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানানো হয়, হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাস পুলিশের তদন্তপ্রধান মোহাম্মদ আল-কাসিহ, তার স্ত্রী এবং সন্তানও নিহত হয়েছেন।
ঘটনার পর এক প্রত্যক্ষদর্শী রামি রফিক বিবিসিকে বলেন, “সর্বত্র আগুন জ্বলছিল। আমি পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছি। এই দৃশ্য দেখে আমার ছেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্কুল ভবনের একাধিক অংশে আগুন জ্বলছে। অনেক মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। আহতদের অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে সোমবার সকালেই গাজার একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত চারজনকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসের বিরুদ্ধে ‘চূড়ান্ত পর্যায়ের অভিযান’ চালাচ্ছে এবং পুরো গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তবে বেসামরিক স্থাপনায় এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।