ঢাকা, ২৮ মে ২০২৫:
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ সম্পূর্ণভাবে বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে বিষয়টি এখন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে। আজ বুধবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কয়েকজন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এই দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর কাছে তুলে ধরেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “মন্ত্রিপরিষদ সচিব বিষয়টি নিজে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। তাই তিনি এটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করবেন।”
প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে জাপান সফরে রয়েছেন। তাঁর দেশে ফেরার কথা আগামী ৩১ মে। এরপরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা রয়েছে।
সচিবালয়ে আজ কর্মচারীদের ব্রিফিং
বিষয়টি নিয়ে আজ দুপুরে সচিবালয়ে আন্দোলনকারী কর্মচারীদের সামনে ব্রিফ করবেন তাঁদের নেতারা। এর আগে গতকাল ভূমিসচিবের সঙ্গে আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে আজকের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
আন্দোলনের পটভূমি
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধনের খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদিত হয়। এরপর গত রোববার সন্ধ্যায় সরকার সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে।
অধ্যাদেশটি জারির পর থেকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন। তাঁরা এই অধ্যাদেশকে “নিবর্তনমূলক” ও “কালো আইন” হিসেবে উল্লেখ করে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে টানা চার দিন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
কর্মচারীরা অভিযোগ করছেন, নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে তাঁদের চাকরি ও অধিকার হুমকির মুখে পড়বে, যা প্রশাসনিক নিরপেক্ষতাকেও বিঘ্নিত করবে।
পরবর্তী করণীয়
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আলোচনার পথই বেছে নেওয়া হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীদের দাবি এখন পুরোপুরি প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।